গাজীপুর নির্বাচনে তিন স্তরের নিরাপত্তা
প্রকাশিত : ২২:২৪, ২৫ জুন ২০১৮

আগামীকাল গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। নগরীকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে নামানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ হাজার সদস্য। এর মধ্যে ১০ হাজার ২৪৪ জন ভোট কেন্দ্র পাহারায় থাকবেন।
এছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তায় পথে পথে থাকবে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের পৃথক মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্রিফিং করেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। পুলিশের জন্য আগেও গাজীপুরের কোনো নির্বাচন বিতর্কিত হয়নি, এবারের নির্বাচনও হবে না। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মিলে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব চেষ্টা করবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে র্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বলেন, ভোট গ্রহণের সময়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। গাজীপুর সিটিকে প্রধানত দু’ভাগে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি। নির্বাচনে র্যাবের সাতশ’ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সোমবার ইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতি সাধারণ ভোট কেন্দ্রে পুলিশ-আনসারসহ ২২ জন ও গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্রে ২৪ জন করে সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারদের সমন্বয়ে মোবাইল টিম, প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি সাধারণ ওয়ার্ডে র্যাবের একটি টিম, প্রতি দুই সাধারণ ওয়ার্ডে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোট গ্রহণের দিন ও পরের দিন অবস্থান করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন সম্পর্কিত অপরাধ বিচারের জন্য ১৯ জন জুডিশিয়াল ও ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতর থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১২ হাজার সদস্য কাজ করছেন। এর মধ্যে ১০ হাজার ২৪৪ জন ভোট কেন্দ্রের পাহারায় থাকবেন। ঝুঁকিপূর্ণ ৩৩৭টি ভোট কেন্দ্রে ২৪ জন করে ৮ হাজার ৮৮ জন এবং সাধারণ ৮৮টি কেন্দ্রে ২২ জন করে ১ হাজার ৯৩৬ জন নিয়োজিত থাকবেন।
এসি
আরও পড়ুন